শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, সকাল ৯:২০ সময়

ব্রেকিং নিউজ **গাইবান্ধায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা গাইবান্ধায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা** **পীরগঞ্জে এসএসসিতে উপজেলা শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী জুলকার নাইন যুহা পীরগঞ্জে এসএসসিতে উপজেলা শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী জুলকার নাইন যুহা** **পীরগগঞ্জে পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকায় মন্ডল প্লাস্টিক কোম্পানীকে জরিমানা পীরগগঞ্জে পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকায় মন্ডল প্লাস্টিক কোম্পানীকে জরিমানা** **অপেক্ষার প্রহর শেষে চট্টগ্রামে ফিরলো জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক অপেক্ষার প্রহর শেষে চট্টগ্রামে ফিরলো জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক** **ছবি; জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রুবেল বেপারি ছাত্রলীগের চেয়ে বড় সন্ত্রাস আর কেউ নেই আমরাই বড় ;জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রুবেল বেপারি** **গাজীপুরে লিফটে আটকে মৃত;ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে তদন্ত কমিটি গাজীপুরে লিফটে আটকে মৃত;ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে তদন্ত কমিটি** **গাইবান্ধার ছালুয়া ফজলে রাব্বী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ বন্ধ হওয়ার নেপথ্যের কথা গাইবান্ধার ছালুয়া ফজলে রাব্বী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ বন্ধ হওয়ার নেপথ্যের কথা** **গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বেড়েছে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বেড়েছে** **গাজীপুরে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসে খুন হলো স্বামী গাজীপুরে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসে খুন হলো স্বামী** **দু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শেষ হলো কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠু হয়েছে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন** **জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের রাস্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবীতে প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি পেশ জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের রাস্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবীতে প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি পেশ** **পীরগঞ্জের করতোয়া নদীতে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় বাড়িঘরে হামলা মারপিট পীরগঞ্জের করতোয়া নদীতে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় বাড়িঘরে হামলা মারপিট** **পীরগঞ্জে গৃহবধূকে মারপিট থানায় অভিযোগ পীরগঞ্জে গৃহবধূকে মারপিট; থানায় অভিযোগ** **ছবি: নীড় প্রকল্পের সুউচ্চ বাউন্ডারী গাজীপুর মহানগরীর পলাশোনায় স্মার্ট এগ্রো‘র বাউন্ডারি নির্মান করে অবৈধভাবে ফসলী জমি দখলের চেষ্টা** **পীরগঞ্জে ভূমিহীন কল্যাণ সমিতির দশম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত পীরগঞ্জে ভূমিহীন কল্যাণ সমিতির দশম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত** **কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা থানায় অভিযোগ কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা থানায় অভিযোগ** **গাজীপুরে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ গাজীপুরে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ** **গাইবান্ধায় মে দিবসের কর্মসূচিতে হিট স্ট্রোকে শ্রমিকের মৃত্যু গাইবান্ধায় মে দিবসের কর্মসূচিতে হিট স্ট্রোকে শ্রমিকের মৃত্যু** **মানবতার ফেরিওয়ালা মিল্টন সমাদ্দার এখন ডিবি’র জালে আটক মানবতার ফেরিওয়ালা মিল্টন সমাদ্দার এখন ডিবি’র জালে আটক** **গাজীপুরে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে মে দিবস ২০২৪ পালিত গাজীপুরে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে মে দিবস২০২৪ পালিত**

মানবতার কল্যাণে বিজয়ের ইতিহাস স্মরণীয় হোক

logoনজরুল ইসলাম তোফামঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০, রাত ২:১২ সময় 0660
ছবি,বিজয়ের নিশান

ছবি,বিজয়ের নিশান

 নজরুল ইসলাম তোফা: টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা,চিত্রশিল্পী,সাংবাদিক,কলামিষ্টএবংপ্রভাষক 
আজকের এ বাংলাদেশটিকে স্বাধীনের পিছনে প্রতীকিভাবেই চলে আসে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদের রক্তে রাঙানো শহীদ মিনার, অসাম্প্রদায়িকতা,  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইত্যাদি। এমন বিষয়গুলো আজকে প্রতীকি ভাবেই প্রকাশ করানো মাঝে বেঁধেছে সংঘাত। এই দেশের স্বাধীনতার পিছনে এমন কিছু বৃহৎ শক্তিগুলোর অবদানকে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। কিন্তু, অসাম্প্রদায়িকতার আমাদের এই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার তান্ডব যেন দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সব ভিন্ন মনোভাব পোষণকারীদের এবং মতাবলম্বীদের গুরুত্ব দিয়েই যেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্য কি়ংবা সংস্কৃতির আজ বিলুপ্তির পথে। মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধা কি়ংবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের গর্ব এবং অহংকার। এই মুুুক্তি যুদ্ধের মধ্য দিয়েই আমরা আজকে পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ আর দিনে দিনেই তা এসে দাঁড়িয়েছে প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশের নিকট থেকে এই দেশের জনগণ স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই পাকিস্তানের দুই প্রদেশের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার ইস্যু নিয়েই সম্পর্কের অবনতি ঘটে, সেগুলোর মধ্যে কিছু তুলে ধরা যেতে পারে যেমন ধরুন ভূূমি সংস্কার, রাষ্ট্র ভাষা, অর্থনীতি এবং প্রশাসনের কার্য ক্রমের মধ্যে যেন দু'প্রদেশের অনেক বৈষম্য, প্রাদেশিক স্বায়ত্ত শাসন, পূর্বপাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ও নানাধরনের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংঘাত সৃষ্টি হয়। মূলত 'ভাষা আন্দোলন' থেকে বাংলাদেশের মুুুক্তিযুদ্ধের নানা পটভূমি তৈরি হতে থাকে। একটু জানার চেষ্টা করি যে, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকেই 'স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা' বলা যায়। এ বাঙালিরা ১৯৫৪ সালের ''নির্বাচনে জয়ী'' হওয়ার পরেও তারা ক্ষমতা পেয়ে পূর্বপাকিস্তান বা পূর্ববাংলাকে শাসন করার অধিকার পায়নি।
ঠিক তখন পূূর্ববাংলার জনগণ মূলত“২১-দফা” প্রণয়ন করে জনগণকে সংঘবদ্ধ করে রাজনৈতিক আন্দোলনের চিন্তাভাবনা শুরু করে। আর ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে গিয়েও আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করেছে, সেখানেই 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে' পাকিস্তানের সেই সামরিক এবং বেসামরিক নেতৃত্ব আওয়ামী লীগের জননেতা- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাপ্য রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসাতে দেয়া হয় নি বা অস্বীকার করেছে। তাই তো ‘'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু'’ তার প্রতিবাদে- ‘'অসহযোগ আন্দোলনের ডাক’' দিয়েছিল। তিনি ১৯৭১ সালে ৭মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বা বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল জন-সমুদ্রে ঘোষণা করেছিল,''এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। তাঁরই ঘোষণায় সাধারণ মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত হয়েছিল্। এরপরে ১৯৭১ এ ২৬ মার্চে আবার বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিলে বাংলার মুক্তিকামী মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মুুুক্তি যুদ্ধে অংশ নেয়। দীর্ঘ ৯ মাস রক্ত ক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর চুড়ান্ত বিজয় সূচিত হয়। অর্জিত বাংলার স্বাধীনতা।২৬ মার্চ আর ১৬ ডিসেম্বর দুটি দিবস কিংবা দিনকে বুঝতে বা বুুঝাতে হয়তো বা অনেকেরই সমস্যা হয়।'স্বাধীনতা দিবস'২৬ মার্চ আর 'বিজয় দিবস'১৬ ডিসেম্বর এ দুটি দিবসকে গুলিয়ে ফেলি। স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসটাকে নিয়ে বহুজনেরই উলটাপালটা হয়। পেপার পত্রিকাতেও এ ভুল অনেকের চোখে পড়ে। দু'জায়গার কথাগুলোকে গুলিয়ে ফেলেই একাকার করে দেয়।পরিস্কার ধারণার আলোকেই বলতে হয়-বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসটা হচ্ছে ২৬ মার্চ তারিখে পালিত হওয়া এক জাতীয় দিবস, এইটিকেই ১৯৭১ সালের '২৫ মার্চ' রাতে তৎকালীন- পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ আনুষ্ঠানিকভাবেই যেন স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করে। আর সেই মুহূর্তের রাতের পর দিনটি আসে ২৬ মার্চ, আর সে দিনটাকে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা দিবস বলছেন। আরো পরিষ্কার ভাবেই বলতে চাই,-২৬ মার্চের রাত বারোটা থেকেই এ দেশের জনগণ স্বাধীনতা দিবস পালন করে আসছে।কারণটা হলো যে,১২টার পর মুহূর্তে পূর্ব পাকিস্তান কিংবা এ বাংলাদেশের জমিনে যতধরণের পাকিস্তানী সেনারা ছিলো তারা যেন হয়েই গেলো 'বিদেশী হানাদার শত্রু বাহিনী' এবং তাদের নিজস্ব এই জন্মভূমির মাটি থেকে তাড়াতে যে যুদ্ধ শুরু হলো- সেটাই হচ্ছে 'মুক্তিযুদ্ধ', স্বাধীনতার যুদ্ধ একথাটা-“একটু ভুল”।আর ‘২৬ মার্চ’-থেকেই যদি আমরা শুরুর প্রক্রিয়াতে স্বাধীন না হই তাহলে, মুক্তিযুদ্ধটা কিন্তু আর-'মুক্তিযুদ্ধ' থাকে না, পাকিস্তানের সঙ্গে গৃহযুদ্ধ হয়ে যায়। সুতরাং,এমন বিদেশী দখলদার বাহিনীদের সহিত দীর্ঘ-”নয় মাস”আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে এদেশে ‘বিজয়’ আনে, তাই তো আমরা পেয়েছি ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস।
এ পৃথিবীতে মাত্র দুইটি দেশ- "স্বাধীনতার ডাক বা কথা'' ঘোষণা দিয়েই দেশ স্বাধীন করেছে। এ 'বাংলাদেশ আর আমেরিকা'। সেই হিসাবে ২৬ মার্চ থেকেই এ বাংলাদেশ স্বাধীন, তা অবশ্যই সাংবিধানিক ভাবেই প্রতিষ্ঠিত, এটা নিয়ে আদৌ তর্কের কোন অবকাশ নেই। বলা প্রয়োজন যে, পাকিস্তানের শাসকরাই চেয়ে ছিল ক্ষমতা সব সময় পশ্চিম পাকিস্তানীদের কাছে থাকুক। সুতরাং তারা যেন দিনে দিনে পূর্ব পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশের মানুষকে যাঁতা কলে বন্দি রাখার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে।পূর্ব পাকিস্তানের ‘পাট’, ‘চামড়া’ বা ‘চা’ রপ্তানি করেই যে বিদেশি মুদ্রা আয় হতো-তা পশ্চিম পাকিস্তানের উন্নয়ন কাজে চতুরতা সঙ্গে তারা ব্যয় করতো। পূর্বপাকিস্তানের চাষ করা ফসলের বাজার দাম পশ্চিম পাকিস্তানে খুবই কম আর পূর্ব পাকিস্তানে অনেক বেশি।এই সব অসংখ্য তথ্য আছে যা পূর্বপাকিস্তান বা আজকের বাংলাদেশের সকল জনগণ মেনে নিতে পারেনি।ভেতরে ভেতরে যেন একধরনের ক্রোধ সৃৃষ্টি হয়ে ছিল এই দেশের জনগণের। সারা পূর্বপাকিস্তান বা আজকের এদেশ তখন মিছিলের নগরী হয়েছিল। ১মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ‘ইয়াহিয়া খান’ সাহেব জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করার পর থেকে কার্যত পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তান মুখো-মুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে যায়। পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠির “মুখোশ উম্মোচিত” হয়। পূর্ব বাংলার মানুষ বুুঝতেই পারে এবার আলাদা জন্মভূমি গড়তে হবে। এই দেশেটার পরিস্হিতি আয়ত্তের বাইরে চলে গেলে তিন মার্চে ঢাকায় কারফিউ জারি হয়।এ খবর জানার সাথে সাথেই ঢাকার বাইরের যারা তাদেরও- উত্তেজনা বাড়তে শুরু হয়। সেই সময়েই মিছিল মিটিংয়ের নতুন গতি পায়।২মার্চে আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান ডাকসুর ভিপি আ স ম আব্দুর রব আর ৪মার্চ ঢাকায় স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করে ছাত্রলীগ নেতা শাহজাহান সিরাজ। তাইতো এ দেশে কারফিউ। আসলেই- মার্চ থেকে ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। আওয়ামীলীগের ডাকেই সকাল ৬ টা থেকে দুপুর দু’টা পর্যন্ত হরতালও পালিত হয়।
জাতির জনক,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশনায়-দুপুর আড়াইটা থেকেই বিকেল ৪ টা
পর্যন্ত অতি জরুরি কাজ করার জন্যে সরকারি বেসরকারি অফিস কিংবা ব্যাংক খোলে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল।তাছাড়াও তিনি জরুরি সার্ভিস,হাসপাতাল,ঔষধের নানান দোকান অ্যাম্বুলেন্স সহ সংবাদপত্র এবং সংবাদ পত্রের গাড়ি,পানি, বিদ্যুৎ,টেলিফোন এইগুলো সেই হরতালের বাহিরে রেখে ছিল।এক কথায় বলতে গেলে,জাতির জনক"বঙ্গবন্ধু"যা যা বলেছিল তাই ঘটেছিল।তাঁর নির্দেশে পূর্ববাংলার সকল জনতা একীভূত হয়ে এই দেশটি স্বাধীন করেছে। আরো জানা দরকার, ৬ মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ‘ইয়াহিয়া খান’ রেড়িওতে জাতির উদ্দেশ্যে যে ভাষণ দেয়। এতেই ”২৫ মার্চ” জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে বসার ঘোষণা ছিল। আর তার সঙ্গে বিশৃঙ্খলা যেন না হয়,এক প্রকার হুমকি বা ধমক দিয়েছিল। তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তা একেবারেই যেন সহ্য করতে পারেননি, তিনিও ৭ মার্চের ভাষণেই তার অনেক জবাব দিয়ে ছিল। আবার ১৫ মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান আমাদের পূর্ব পাকিস্তান আসে এবং ১৬মার্চ মুজিব-ইয়াহিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সে বৈঠকে কোনো কাজ না আসলে বঙ্গবন্ধু- ''শেখ মুজিবুর রহমান"বাংলা ছাড়ার ডাক দেন।ক্ষুব্ধ 'ইয়াহিয়া' রাগেই যেন ফোঁস ফোঁস করে। এ ধরনের আরো অনেক বৈঠক হয়েছিল।কিন্তু কোনো প্রকার কাজ হয়নি।অনেকাংশে তাদের কাল ক্ষেপণের মধ্য দিয়ে যেন পশ্চিম পাকিস্তান থেকেই-গোলা বারুদ,সৈন্য-সামন্ত বাংলার জমিনে খুব দ্রুত গতিতে আসতে থাকে।তখনই পূর্ববাংলার মানুষরা যুক্তিতর্কের উর্ধ্বে উঠেই যেন স্বাধীনতা অর্জনের নেশায় উম্মত্ত হয়ে যায় এবং যার যাছিল গাইতি,বল্লম,রামদা,বর্শা, লাঠি এই গুলো নিয়েই রাস্তায় নেমে পড়ে।সুতরাং তারাই তো আমাদের ‘মুক্তিযোদ্ধা’,তাঁরা এই বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে।
বাংলাদেশের “স্বাধীনতা সংগ্রাম”ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং শোষণের বিরুদ্ধে। ১৮ মার্চ এক অসহযোগ আন্দোলনে ১৬ দিনেই তারা "পদার্পণ করে"।এ আন্দোলনের ঢেউ গ্রাম হতে গ্রামান্তরে ছড়িয়ে পড়ে।সংকটাপন্ন অবস্থায় এইদেশ,যুদ্ধ চলছে,চলছে লাশের মিছিল।২০ মার্চ জয়দেবপুরের রাজ-বাড়ীতেই অবস্থিত ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি দক্ষ 'ব্যাটালিয়ন' তাদের হাতিয়ার ছিনিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্রকে 'নস্যাৎ' করে দেয়।তারপরে শহর হতে গ্রামাঞ্চলের অসংখ্য মানুষ একত্রিত হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তারা সবাই মিলে টঙ্গী এবং জয়দেবপুরের মোড়ে একটা ব্যারিকেড গড়ে তোলে নব নির্বাচিত জাতীয় পরিষদের সদস্য, মোঃ শামসুল হকের নেতৃত্বে। ২২ মার্চে শহর হতে গ্রাম পর্যন্ত স্বাধীনতার জন্য বাঙালী সংগ্রামে গর্জে ওঠে।এমন ভাবে যতই দিন রাত অতিবাহিত হচ্ছিল,রাজনৈতিক সঙ্কট'ততই গভীরতর হয়ে যাচ্ছিল।এর পরে আরও আসে,ইতিহাসের একটি ভয়ালতম কালোরাত্রি। সে কালো রাতটা যেন বাঙালির ইতিহাসে সবচেয়ে আতংকের রাত। পশ্চিমপাকিস্তানের সামরিক সরকার থেকে গণ হত্যার নির্দেশ আসে। তখন ব্যাপক পরিমাণেই পশ্চিম পাকিস্তানি সৈন্যদের সমাগম ঘটে। অপারেশন সার্চ লাইটের নামে নির্বিচারে গণ হত্যা শুরু হয় এমন রাতে।২৫ মার্চ কালো রাত ও অপারেশন সার্চলাইট অপারেশনে নেমেছিল সেই কুচক্রী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মাধ্যমে যেন নির্বিচার হত্যার সাথে সাথেই জ্বালাও পোড়াও স্বাধীনতাকামী বাঙালীর কণ্ঠস্বরটাকে বুলেট দিয়ে চিরতরে স্তব্ধ করার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। এ অপারেশনের মূল লক্ষ্য ছিলো ইপিআর (“ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস”,বর্তমানে বিজিবি) ও এই দেশের পুলিশ সহ বাঙালী সেনা সদস্যদের নিরস্ত্র করা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ আওয়ামীলীগ এর নেতা এবং গুরুত্ব পূর্ণ ১৬জন ব্যক্তির বাসায় হানা দিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। জ্বলছে ঢাকা আর মরছেও বাঙালী'রা। একই সাথে শুরু হয়ে গেছে মুক্তিযুদ্ধ,স্বাধীনতার প্রথম প্রহর।এ ভাবেই ‘'মুক্তিযুদ্ধ'’ চলতে চলতে যখন হানাদার পাকবাহিনী বুঝে গেল পরাজয় তাদের অনিবার্য তখনই তারা এ পূর্ব বাংলাকে মেধা-শূন্য,পঙ্গু,কিংবা নেতৃত্বহীন করার জন্যই ১৪ ডিসেম্বর রাজাকার,আল-বদর, আল -শামস বাহিনীর সহযোগিতায় অন্ধকার রাতে হত্যা করে  বহু সংখ্যক অধ্যাপক, প্রকৌশলী, ডাক্তার, আইনজীবী, শিল্পী বা কবি-সাহিত্যিকদের। তথ্যের আলোকেই প্রথম সারির দু শতাধিক বাঙালি বুদ্ধিজীবীকে হত্যার মাধ্যমে ইতিহাসের একটি কলঙ্কময় অধ্যায়ের সূচনা করে ছিল।এই দেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়েই প্রায় দুই লাখ মা বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে এই 'স্বাধীনতা'৷ আবার বহু জন তাঁদের মূল্যবান ধনসম্পদকেও হারিয়ে ছিল।‘অগ্নি সংযোগ’নারী ধর্ষণ’, ‘গণহত্যা’সংঘর্ষ’ কিংবা ‘হামলা’ আর লুটতরাজের মতো অনেক অপ্রীতিরক ঘটনা-ঘটে যাওয়ার পরও বাঙালির চেতনায় যেন স্বাধীনতা ছিল।
ইশতেহারে বলাই ছিল,আজ থেকেই“স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ”এমন ঘোষণার কথাটা পূর্ণবাংলার মানুষের প্রাণশক্তি,আর তাইতো ৫৪ হাজার বর্গমাইলের ৭কোটি মানুষের আবাস ভূূমির নাম হবে বাংলাদেশ,এতে‌ আজ বাঙালি গর্বিত।মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের পর যুদ্ধ সুকৌশলে চালিয়েই পাক-বাহিনীর আত্ম সমর্পণের মধ্য দিয়েই ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় করেছে। সুতরাং,অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন বাংলাদেশের। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হয়ে ছিল বাঙালি জাতির মুল কর্ণধার। সারাবিশ্বের দরবারে বা মানচিত্রে সংযোজিত হয়েছে 'নতুন ও স্বাধীন' এদেশ, ''গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ''।এই বাংলার জনপ্রিয় নেতা,''বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান" জেল থেকে বাহির হয়েই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল আর তিনিই এ দেশের স্থপতি, তাঁকে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখার জন্যেই প্রতিকী ভাস্কর্য নির্মাণ করা জাতির কাছে হবে অনেক গর্বের বিষয়। তাছাড়াও তরুণ প্রজন্ম আগামীতে মহান ব্যক্তিকে স্মরণ করায় হয়তো বাধাগ্রস্ত হবে। ভুলে গেলে কি চলবেনা তিনি ছিলেন সকল জাতি‌ পেশার একজন‌ অসাম্প্রদায়িক নেতা। সুতরাং যুুুুগেযুগে এমন কালজয়ী সর্বশ্রেষ্ঠ মহানায়কের হাত ধরে অর্জিত হওয়া "লাল সবুজের জাতীয় পতাকা" এবং তাঁর ভাস্কর্য অক্ষন্ন রাখা আমার, আপনার অসাম্প্রদায়িক চেতনাতে লালন করা উচিত। 


বিষয়- রাজনীতি, জাতীয়, ইতিহাস ও জীবনী আলোচনা, খবরের সময় ডেস্ক,

মন্তব্য


মন্তব্য করতে হলে লগইন করুন অথবা নতুন হলে রেজিস্ট্রেশন করুন

এই বিভাগের আরও খবর


আইটি সম্পাদকঃ সুকান্ত ধর